নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতাল চত্ত্বরে এক প্রতিবন্ধী যুবকের ভাসমান পানের দোকান ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় শারিরীক প্রতিবন্ধী ও ভাসমান দোকানদার রেজাউলকে মারধরও করা হয়েছে। মারধরে কিছুটা আহত রেজাউলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর আগে শনিবার রাত এগারোটায় শেবামেক হাসপাতাল চত্ত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাসপাতাল চত্ত্বরে ভাসমান দোকানগুলো থেকে নিয়মিত চাদা উত্তোলন করে শওকত হোসেন ওরফে মন্ট্রা নামের এক যুবক। মন্ট্রা শেবামেক হাসপাতালের সামনে চরের বাড়ি এলাকার বাসিন্দা। কতিপয় অসাধু পুলিশ সদস্যর সহায়তায় মন্ট্রা এখানকার অসহায় দোকান মালিকদের কাছ থেকে চাদাবাজী করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর আগে শেবামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাষ্টার আবুল কালামকেও মারধর ও প্রানরাশের হুমকি দেয় মন্ট্রা। এ ঘটনায় আবুল কালাম মন্ট্রার বিরুদ্ধে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরীও করেন।
এদিকে শনিবার রাতের হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী ও ঝালকাঠী জেলার বাসিন্দা মো: শামু ও রাকিব বলেন, আমরা দোকানে পান খাওয়ার জন্য এসেছিলাম। এসময় মন্ট্রা নামের এক যুবক ওই প্রতিবন্ধী দোকানদারের নিকট ৫০ টাকা চাদা দাবী করেন। দাবীকৃত চাদার টাকা না দেওয়ার কারনে মন্ট্রা প্রতিবন্ধী যুবকের পানের দোকান ভাংচুর করে। এমনকি ওই যুবককে মারধর করে।
মারধরের বিষয়ে কথা হলে প্রতিবন্ধী ও ভাসমান পানের দোকানদার রেজাউল বলেন, হাসপাতাল চত্ত্বরে ভাসমান দোকানগুলো থেকে নিয়মিত চাদা উত্তোলন করে শওকত হোসেন ওরফে মন্ট্রা নামের এক যুবক। কতিপয় অসাধু পুলিশ সদস্যর সহায়তায় মন্ট্রা এখানকার অসহায় দোকান মালিকদের কাছ থেকে চাদা উত্তোলন করছে। এরআগে শেবামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাষ্টার আবুল কালামকেও মারধর ও প্রানরাশের হুমকি দেয় মন্ট্রা। এ ঘটনায় আবুল কালাম মন্ট্রার বিরুদ্ধে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরীও করেন। আমি মন্ট্রার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করবো। তবে এ ঘটনায় মন্ট্রার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মো: ফরিদ উদ্দিন জানান, হামলার ঘটনায় ওই প্রতিবন্ধী যুবকের কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।’’
Leave a Reply